মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
উত্তরায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্র গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা ডিবিসি চ্যানেলের পরিচালক ও তার পরিবারের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচার:থানায় সাধারণ ডায়েরি ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতায় যেসব কাজ করতে পারবে সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে দোটানায় থাকতে দিল ভারত বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু, পানিবন্দী ৯ লাখ পরিবার ৮ জেলা বন্যাকবলিত, আরও বিস্তৃত হতে পারে শেখ হাসিনার বিচারের বিষয়ে অবস্থান জানাল জাতিসংঘ ঢাকা শহরকে দূষণমুক্ত ও বাসযোগ্য করতে যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে :সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে এনবিআর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বিদায়ী সাক্ষাৎ

এদেশে খাদ্য সংকট হবে না – খাদ্যমন্ত্রী

Reporter Name / ১৭৩ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২

ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) :

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে সোনা ফলে। কৃষকের ঘরে
ধারাবাহিকভাবে এখানে বোরো, আউশ ও আমন ধান ওঠে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করা না হলে এদেশে
খাদ্য সংকট হবে না।

আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষ থেকে ‌‘বোরো ২০২২ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার
মনিটরিং সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায়’ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যা করণীয় তার সবই করা হবে।
প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করে ভোক্তাকে স্বস্তিতে রাখা হবে। এ সময় তিনি
ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত লাভ না করে ভোক্তাদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিমুক্ত থেকে সততা ও
নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। জুনের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ সম্পন্ন করতে হবে। যে সকল মিল
মালিক চুক্তিবদ্ধ চাল আগে পরিশোধ করবে প্রয়োজনে তাদের আরো বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে
উল্লেখ করেন তিনি।

বিভিন্ন কর্পোরেট হাউস বাজার থেকে ধান চাল কেনায় লিপ্ত হয়েছে। তারা কৃত্রিম কোনো
সংকট তৈরি করছে কি না তা খতিয়ে দেখতে বলেন মন্ত্রী। ভোক্তা যেন আতঙ্কিত না হয় সে জন্য
সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি ধান চালের বাজারে নজরদারি বাড়াতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন
তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ধান ও চাল সংগ্রহকালে কোনো কৃষক কিংবা মিল মালিক যেন কোনোভাবে
হয়রানি না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ ময়েশ্চার মিটার দিয়ে
কৃষকের ধানের ময়েশ্চার পরীক্ষা করে কৃষককে সহযোগিতা করতে পারেন উল্লেখ করে তিনি বলেন,
কৃষকের বাড়িতে গিয়ে ময়েশ্চার পরীক্ষা করে ধানসহ কৃষককে গুদামে পাঠালে তাদের ভোগান্তি
কমবে। বেশি ময়েশ্চার বা ভেজা ধান ফেরত নিয়ে গুদাম থেকে মন খারাপ করে ফিরতে হবে না। মিল
মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোয়ালিটির মানদণ্ডে উত্তীর্ণ না হলে সে চাল গুদামে পাঠাবেন
না। চালের কোয়ালিটির সাথে কোন আপস হবে না।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায়
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ
ইসমাইল হোসেন, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলা প্রশাসকগণ, কৃষি বিভাগের উপপরিচালকগণ খাদ্য
বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ও মিল মালিকগণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By ThemesDealer.Com