নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বগুড়া শাজাহানপুরের শাবরুল এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী সাগর বাহিনীর প্রধান সাগর হোসেন (৩৫) এবং তার এক সহযোগী স্বপন হোসেনকে (৩৬) উপুর্যপুরি কুপিয়ে হত্যা করেছে অজ্ঞাতনামা দূর্বৃত্তরা। এসময় অপর এক সহযোগীকে কুপিয়ে এক হাত শরির থেকে বিচ্ছিন্ন করা ফেলে রাখা হয়েছে।
নিহত সাগর হোসেন উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের শাবরুল হাটখোলাপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। নিহত সাগর হোসেনের নামে হত্যা ও মাদক সহ হাফ ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে। নিহত অপর সহযোগী স্বপন হোসেন একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। সে শাবরুল বাজারে শ্রমিকের কাজ করতো।
রোববার রাত ৯টার দিকে সাবরুল ছোটমন্ডল পাড়া জনৈক তোজাম্মেল হকের পোল্ট্রী ফার্মের পাশে ডোবা থেকে মরদেহ দুটি এবং কাটা হাত উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, রোববার সন্ধা ৭টার দিকে সাগর হোসেন ও তার ওই দুই সহযোগীকে সাথে মটরসাইকেল যোগে শাবরুল বাজার এলাকার দিকে আসছিল। পথিমধ্যে সাবরুল ছোটমন্ডল পাড়া জনৈক তোজাম্মেল হকের মুরগীর খামারের সামনে পৌছা মাত্র একদল দূর্বৃত্ত দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে উপুর্যপুরী কুপিয়ে সাগর ও স্বপনকে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু নিশ্চিত করে পাশের ডোবায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এসময় অপর এক অজ্ঞাতনামা সহযোগীকে কুপিয়ে শরির থেকে এক হাত বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলেও জানান তারা।
স্থানীয়রা আরো জানান, সন্ত্রাসী সাগর বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনে এলাকাবাসি দীর্ঘদিন ধরে অতিষ্ঠ হয়ে ছিল। এর আগে শাবরুল এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শিহাব উদ্দিন বাবু ও প্রভাষক পারভেজ হত্যার মাষ্টার মাইন্ড ছিল সাগর। এছাড়া সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক থেকে শুরু করে যাবতীয় অপরাধমূলক কর্মকান্ডে শাবরুল এলাকা জিম্মী করে রেখে ছিল এই সাগর বাহিনী। এই হত্যার মধ্য দিয়ে শাবরুল এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। শাজাহানপুর থানার ওসির দায়িত্বে থাকা সেকেন্ড অফিসার এসআই ফারুক হোসেন জানান, সাগর ও স্বপন নামে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এসময় শরির থেকে বিচ্ছিন করা একটি হাত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই কাটা হাতটি কার তা এখনো সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।