নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে কুমিল্লা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়াসহ তিনজনের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার দুদকের কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
সুবিদ আলী ভূঁইয়া ছাড়াও তাঁর ছেলে সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক উপাচার্য শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুদক সুবিদ আলী ভূঁইয়া ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক অনিয়ম, প্রকল্পের অনিয়ম ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ছাড়াও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
চবির সাবেক উপাচার্য শিরীণ আখতার ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ, অবৈধ নিয়োগ–বাণিজ্যেসহ নানাবিধ দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে দুদকের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছ।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে নিয়োগের জন্য ১৬ থেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, সংবিধি ও শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার তোয়াক্কা না করে বিধিবহির্ভূতভাবে প্রায় শতাধিক শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৪ জুন ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ দেখিয়ে আত্মসাৎ; চবির মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের একাডেমিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৪৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা এবং একই দিনে অন্য একটি সভায় ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন সাবেক এই ভিসি।
অভিযোগ আরও বলা হয়, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদান করে নিজস্ব সিন্ডিকেট তৈরি করে ঘুষ গ্রহণ ও অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি। দুদকের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে তাঁর অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদের সত্যতা মিলেছে মর্মে উল্লেখ করা হয়।