নারায়ণগঞ্জের সবাই ফকির নিটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকির আক্তারুজ্জামানকে ব্যবসায়ী হিসাবে চেনেন। ব্যবসার আড়ালে তিনি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর ব্যবসায়িক অংশীদার ও অর্থ জোগানদাতা। এলাকার অপরাধ সাম্রাজ্যের মূল হোতা ছিলেন বাবু ও ফকির।
স্থানীয় বিএনপির কর্মী কামরুজ্জামান সোহাগের এক লিখিত অভিযোগে জানা, ফকির গ্রুপের ফকির আক্তারুজ্জামানের মাধ্যমে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে অবৈধভাবে কামানো হাজার কোটি টাকা সাদা করে বিদেশে পাচার করেছে বাবু। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর বাবু পালিয়ে যায়। তার অবর্তমানে এলাকার অপরাধ সাম্রাজ্য পাহারা ও ফকির আক্তারুজ্জামান তার ভাতিজা ফকির কামরুজ্জামান নাহিদকে সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-অর্থনৈতিক সম্পাদক আড়াইহাজারের মাহমুদুর রহমান সুমন। আড়াইহাজার ও নারায়ণগঞ্জে ফকির গ্রুপের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি হামলা মামলা থেকে রক্ষার জন্য ৫ কোটি টাকা নিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ফকির আক্তারুজ্জামানসহ তার ভাতিজা ফকির ফ্যাশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফকির কামরুজ্জামান নাহিদ, সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর ব্যবসায়ী অংশীদার। তাদের সঙ্গে সাবেক এমপি বাবু অংশীদারত্বের মাধ্যমে নামে বেনামে গড়ে তুলেছে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। তবে সব প্রতিষ্ঠান ফকির গ্রুপের নামে থাকলেও এতে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বাবু ।