বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে প্রথম ধাপে ৬৭টি দেশীয় সংস্থাকে পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দেয় কমিশন। নতুন করে এ তালিকায় আরও ২৯টি সংস্থা যুক্ত হওয়ায় আগামী পাঁচ বছর নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নিবন্ধিত মোট দেশীয় সংস্থার সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৬টি।
এই পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
নতুন যে ২৯ সংস্থা নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে
ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দ্য রুরাল পূওর (ডরপ), প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, সোসাইটি ফর রুরাল বেসিক নীড় (স্রাবন), সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম, রুরাল ভিশন (আরভি), তরফসরতাজ শান্তি সংঘ (টিএসএস) বগুড়া, পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর সোস্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (পাশা), পাথওয়ে, এমপাওয়ারমেন্ট থুল অফ দ্য কমন পিপল (এলকপ), জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, নাইস ফাউন্ডেশন, নারী উন্নয়ন সংস্থা, সুফিয়া হানিফ ফাউন্ডেশন, সোস্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিউনিটি অর্গানাইজেশন (সাকো), সবার তরে আমরা ফাউন্ডেশন (এসটিএএফ) ও বিয়ান মনি সোসাইটি।
এছাড়াও রয়েছে অগ্রগতি সেবা সংস্থা (আসেস), আল-কোরআন প্রচার সংস্থা (আকপস) বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল আসফ লিগ্যাল এইড ফাউন্ডেশন, এআরডি (অ্যাসোসিয়েশন ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট), বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ (বামাসপ), রাজারহাট স্বাবলম্বী সংস্থা, সংগতি সমাজ কল্যাণ সংস্থা, উদ্ভাবনী মহিলা সংস্থা, ভলান্টারি অর্গানাইজেশন ফর দ্য নীডি (ভন), দিনাজপুর পল্লী উন্নয়ন প্রচেষ্টা (ডিপিইউপি), সেলফ ডেভলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ (এসডিআই) ও বেডো আর্থসামাজিক কেন্দ্র।
এদিকে, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বিদেশি কোনো পর্যবেক্ষক সংস্থা বা সাংবাদিক আগ্রহ দেখাতে বৃহস্পতিবারের (৭ ডিসেম্বর) মধ্যে তাদের আবেদন করতে হবে। ২১ নভেম্বর পর্যন্ত এ আবেদনের সময়সীমা থাকলেও পরে তা ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১১৭ বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আবেদন করেছেন বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইসির পক্ষ থেকে ৩৮টি দেশ ও বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার ১১৪ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ভোট পর্যবেক্ষণ করতে চাইলে তাদেরও ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করতে হবে।