আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
চীনের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। দ্বীপটির আশেপাশে চীনের সামরিক মহড়ার তৎপরতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণে তাজা গুলি ব্যবহার করায় বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এই সিদ্ধান্ত নেয় তাইপেই। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো চীনের সামরিক তৎপরতার উপস্থিতি দেখা গেছে। যুদ্ধজাহাজ ও ২৯টি বিমানসহ বেশ বড় পরিসরের মহড়ার আয়োজন করেছিল বেইজিং। মহড়ায় তাজা গুলি ব্যবহৃত হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
তাইওয়ানের জলসীমায় গত পাঁচ বছর ধরে চীনের সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধির অভিযোগ করে আসছে তাইপেই। এদিকে, গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে না বেইজিং। দেশটির ভূখণ্ডের ওপর নিজেদের এখতিয়ার দাবি করে তারা।
এর আগের দিন চীনের ৪৩টি সামরিক বিমান দ্বীপটির জলসীমায় সক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ করেছে তাইওয়ান।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, আলোচনার আড়ালে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে যাচ্ছে বেইজিং।
চীনের কার্যকলাপে একটি কর্তৃত্ববাদী শাসনযন্ত্রের আধিপত্যবাদী আচরণ ফুটে ওঠে বলে অভিযোগ করেছে তাইওয়ান। তাদের মতে, বেইজিং প্রতিবেশী দেশের জন্য ‘গুরুতর চ্যালেঞ্জের’ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাইওয়ানের কাছাকাছি অঞ্চলে মহড়া পরিচালনা নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝ্যাং জিয়াওগ্যাং সাংবাদিকদের বলেছেন, এগুলো তাদের ‘বৈধ’ কার্যকলাপ।
তিনি আরও বলেছেন, যুদ্ধ প্রস্তুতি সুসংহত করতে নিয়মিত সামরিক মহড়ার আয়োজন করে যাবে বেইজিং।
এই বিষয়ে অবগত কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবারের আয়োজন ছিল চীনের বার্ষিক মহড়ার অংশ।
তাইওয়ানের জলসীমায় শেষবারের মতো চীন সর্বাত্মক মহড়া আয়োজন করেছিল চলতি বছর মে মাসে। তার মাত্র কিছুদিন আগেই দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে আসেন লাই চিং তে। বেইজিং এর দৃষ্টিতে তিনি একজন ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’।
সংকট নিরসনে একাধিকবার বেইজিংয়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন লাই চিং তে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি চীন।