আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
রাশিয়া ইউক্রেনের পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছে বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সম্ভাব্য এই ‘পারমাণবিক বিপর্যয়’ নিয়ে সতর্ক করেছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।
তিনি বলেছেন, অন্যদেশের স্যাটেলাইট ব্যবহার করে ইউক্রেনের পারমাণবিক অবকাঠামোর তথ্য সংগ্রহ করছে মস্কো। এ ব্যাপারে তার কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।
জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, ‘রেডিয়েশন দেশের সীমানা মেনে ছড়াবে না। (পারমাণবিক বিস্ফোরণের) বিধ্বংসী প্রভাব অনেক দেশেই পড়বে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সর্বাত্মক অভিযান শুরুর পর থেকেই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।
জেলেনস্কি বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে কোনও মারাত্মক ঘটনায় পারমাণবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। তেমন কোনও দিন মোটেও আসা উচিত নয়। মস্কোর এসব বোঝা উচিত। আর সে ব্যাপারে আগ্রাসকদের ওপর চাপ প্রয়োগে আপনাদেরও (জাতিসংঘ) দায়িত্ব রয়েছে। এগুলো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার।’
রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনের জাপোরিজ্জিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিরাপত্তার অবনতি ঘটছে বলে গত মাসে সতর্ক করেছিলো জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা।
যুদ্ধের প্রারম্ভে এই কেন্দ্রটি রাশিয়া দখল করে নেয়। এরপর থেকে এটি একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছে। হামলার জন্য দু’পক্ষই পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে।
জেলেনস্কি তার বক্তব্যে বলেছেন, ইউক্রেনে সব তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বড় অংশ ধ্বংস করে ফেলেছে রাশিয়া। শীতের আগে ইউক্রেনীয়দের ‘অত্যাচার’ করতে মস্কো এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বক্তব্যের এই পর্যায়ে জেলেনস্কি জ্বালানি চাহিদাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার বন্ধের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, এপ্রিলে কিয়েভের নিকটবর্তী গুরুত্বপূর্ণ একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রুশ হামলায় ধ্বংস হয়। ফলে, ইউক্রেনের কয়েক লাখ নাগরিক ব্ল্যাক আউটের শিকার হয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা রয়েছে জেলেনস্কির।