নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ কোনোভাবেই অনিয়মিত অভিবাসন সমর্থন করে না। প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া থেকে অনিয়মিত অভিবাসীদের ফেরাতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।’
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসনের সঙ্গে বৈঠককালে এসব কথা বলেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। নারদিয়া সিম্পসন আজ পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে স্বাগত জানান উপদেষ্টা। তিনি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতি পারস্পরিক অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন। শাসনব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনতে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করেন এবং সে চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সাম্প্রতিক প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতির জন্য শোক প্রকাশ করেন। তিনি ঢাকাস্থ বিদেশি মিশনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার ভূমিকার কথা স্বীকার করেন। দুই দেশের সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরেন নারদিয়া সিম্পসন। তিনি ২০২৪ সালের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর পেনি ওং-এর বাংলাদেশে শেষ দ্বিপক্ষীয় সফরের কথা উল্লেখ করেন। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশিদের জন্য গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী তালিকাভুক্তির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন এবং শিক্ষার্থী ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সহজ করার পরামর্শ দেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি অস্ট্রেলিয়ার অব্যাহত সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি এ সঙ্কটের কারণে উদ্ভূত আঞ্চলিক নিরাপত্তাঝুঁকি তুলে ধরেন এবং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার প্রতি মিয়ানমারের ওপর আরও আন্তর্জাতিক চাপের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে জোর দেন, যা এ দীর্ঘায়িত সঙ্কটের চূড়ান্ত সমাধান।