মঙ্গলবার বাদ জোহর গোপালগঞ্জে এস এম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার পর গেটপাড়া পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনপ্রিয় এ সংগীত শিল্পীর প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহসিন উদ্দীন।
এর আগে মঙ্গলবার ভোর ৪ টায় খালিদ সাইফুল্লাহ’র লাশ গোপালগঞ্জ শহরের বাড়িতে এসে পৌঁছায়।
খবর পেয়ে সকাল থেকে প্রিয় শিল্পীকে এক নজর দেখতে বাড়িতে এসে ভিড় জমায় সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী ও স্বজনরা। এসময় সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
১৯৬৩ সালে গোপালগঞ্জ শহরের কলেজ রোডের বনেদি মুসলিম পরিবারে খালিদ সাইফুল্লাহ আনোয়ার জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারে ৩ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। তার পিতা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বি এ হেমায়েত উদ্দিন ও মাতা আনোয়ারা বেগম।
ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি ঝোঁক ছিল তার। স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমি ও পারিবারিক পরিমণ্ডলে শৈশবে তার সংগীত চর্চা শুরু হয়। ছাত্রজীবনেও একজন সংগীত শিল্পী হিসেবে স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান। আশির দশকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। ৮৩ সালে সমমনা শিল্পীদের নিয়ে তিনি ‘চাইম’ নামে একটি ব্যান্ড দল গঠন করেন।
তিনি ছিলেন চাইমের ভোকালিস্ট। ওইসময় খালিদ সাইফুল্লাহ’র কণ্ঠে বেশ কিছু গান হিট হয়। যা পরবর্তীতে ব্যান্ড দল চাইম’কে জনপ্রিয়তার শিখরে নিয়ে যায়। তার ওইসব জনপ্রিয় গান আজও মানুষের মুখে মুখে।
সংগীত শিল্পী খালিদ সাইফুল্লাহ’র স্ত্রী শামীমা জাহান ও একমাত্র ছেলে আরিক যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। তার বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন আহসান গোপালগঞ্জে থাকেন। মেজ ভাই ছিলেন, বিখ্যাত আইনজীবী ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা’র) প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ড. মহিউদ্দিন ফারুক।
সংগীত শিল্পী খালিদ সাইফুল্লাহর জানাজায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার প্রিন্স মাহমুদসহ জেলার সর্বস্তারের মানুষ অংশ নেয়।