সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ডিবিসি চ্যানেলের পরিচালক ও তার পরিবারের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচার:থানায় সাধারণ ডায়েরি ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতায় যেসব কাজ করতে পারবে সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে দোটানায় থাকতে দিল ভারত বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু, পানিবন্দী ৯ লাখ পরিবার ৮ জেলা বন্যাকবলিত, আরও বিস্তৃত হতে পারে শেখ হাসিনার বিচারের বিষয়ে অবস্থান জানাল জাতিসংঘ ঢাকা শহরকে দূষণমুক্ত ও বাসযোগ্য করতে যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে :সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে এনবিআর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বিদায়ী সাক্ষাৎ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

দেশে রিজার্ভ বর্তমান ১৯.৯৮ বিলিয়ন ডলার

Reporter Name / ৩৬ Time View
Update : শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪

ক্রাইম ফোকাস বিডিঃ একটি দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো নির্ভর করে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভের ওপর। সাধারণত প্রবাসী আয়, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে যে ডলার পাওয়া যায় তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়। একইভাবে আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে রিজার্ভ থেকে ব্যয় হয়।

আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার থেকে যায় সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। কয়েক বছর ধরে দেশের মধ্যে তীব্র ডলার সংকট রয়েছে। জরুরি আমদানির দায় মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিমাত্রা ডলার বিক্রি ও এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় পরিশোধে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমছে।

চলতি মাসের ৬ মার্চ দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৩৪ কোটি ডলার। বুধবার (২০ মার্চ) রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫২৫ কোটি ডলারে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৯৯৯ কোটি বা ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে। যা গত ৬ মার্চ ছিল ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলার। সে হিসাবে ১৪ দিনে গ্রস (মোট) রিজার্ভ কমেছে ১০৯ কোটি ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী কমেছে ১১৬ কোটি ডলার।

এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের (প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ধরে) আমদানি ব্যয় মেটানে যাবে। তবে, এ দুই হিসাবের বাইরে আরও একটি হিসাব করা হয় যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়ে থাকে। সে হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। এর আগে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমকি ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ। তবে দেশের মধ্যে ডলার সংকট চলছে। এ সংকট কাটাতে রিজার্ভ থেকে বাজারে ডলার ছাড়া হচ্ছে। আবার চলতি মাসে আকুর মাধ্যমে আমদানি দায় পরিশোধ হয়েছে। অন্যদিকে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ সাম্প্রতিক কমেছে। এসব কারণে রিজার্ভের পরিমাণও কিছুটা কমছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By ThemesDealer.Com