ঢাকা, ১১ মাঘ (২৫ জানুয়ারি)

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকার যথাসময়ে প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে দেশের
অর্থনীতিকে সচল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
দিক নির্দেশনায় সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হচ্ছে।মন্ত্রী ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ এবং ডব্লিউটিও আয়োজিত ‘দি রোল অভ ট্রেড ইন
ডেভেলপিং কান্ট্রিজ, রোড টু রিকোভারি’ শীর্ষক জয়েন্ট পলিসি নোট তৈরির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে
ভার্চুয়ালি বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন ডব্লিউটিও’র
ডিরেকটর জেনারেল Dr. Ngozi Okonjo-Iweala এবং মডারেটরের দায়িত্বপালন করেন
ডব্লিউটিও’র ডেপুটি ডিরেকটর জেনারেল Anabel Gonzalez.

মন্ত্রী বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের এভ্রিথিং বাট আর্মস
স্কিমের আওতায় বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখা, ফার্মাসিটিকেলস পণ্য রপ্তানির
ক্ষেত্রে এলডিসিভুক্ত দেশের বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখা, নামমাত্র সুদে বিশ্বব্যাংকের ঋণ
সহায়তা প্রাদান এবং  উন্নত দেশের বাণিজ্য ও টেকনিক্যাল সহযোগিতা অব্যাহত রাখা একান্ত
প্রয়োজন। তিনি বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ গত ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশের উন্নয়নশীল
দেশে পরিণত হবার সুপারিশ অনুমোদন করেছে। ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশকে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ
অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এবং এলডিসি গ্রাজুয়েশন
বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ওয়ার্ল্ড ব্যাংক
গ্রুপ এবং ডব্লিউটিও এর সহযোগিতা অব্যাহত রাখা একান্ত প্রয়োজন।

টিপু মুনশি আরো বলেন, বিশ্ববাজারের চাহিদার ৬ দশমিক ৫ ভাগ তৈরি পোশাক রপ্তানি করে
বাংলাদেশ। দেশে প্রায় সাড়ে চারহাজার উন্নত ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকবান্ধব ও নিরাপদ পরিবেশে ৪০
লাখ মানুষ কাজ করছে, এর ৬০ ভাগই নারী। বাংলাদেশের রপ্তানির প্রায় ৮১ ভাগ আসে তৈরি
পোশাক খাত থেকে। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন,
দেশে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়ে বাংলাদেশ যেকোনো সংকট
কাটিয়ে উঠতে সক্ষম, এ জন্য প্রয়োজন উন্নত বিশ্বের আন্তরিক সহযোগিতা ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here