ঢাকা, ২০ চৈত্র (৩ এপ্রিল) :

বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার ৫১ বছর পার করেছে। এই সময়ে অর্থনৈতিকভাবে দেশ অনেক
এগিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক দশকে অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিশ্বে
বাংলাদেশ এক নতুন উচ্চতায় অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশ এখন আর ‘উন্নয়ন মিরাকল’ নয়, বরং
বাংলাদেশ এখন অন্যদের জন্য ‘উন্নয়নের রোল-মডেল’। অর্থনীতির আকারে বর্তমান বিশ্বে ৪১তম
বাংলাদেশ, যা ২০০৬ সালে ছিল ৬০তম। স্বাধীনতার পরে আমাদের অর্থনীতি জিডিপিতে ১০০ বিলিয়ন
ছাড়াতে সময় লেগেছিল ৩৮ বছর, গত ১২ বছরে তা চারগুণ বৃদ্ধি পেয়ে  ৪১১ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।

আজ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সাথে সৌজন্য
সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে এ সভায় আরো
উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি
ব্যবসা ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে
ভ্যাকসিন প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তরিক ধন্যবাদ
জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ খুবই লাভজনক এবং বিনিয়োগের জন্য
উত্তম স্থান হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে আরো বেশি বিনিয়োগের জন্য নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সক্ষমতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্যগত ও আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়
বাংলাদেশ গৃহীত পদক্ষেপ এবং টিকা কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ
বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি ক্ষেত্র। তিনি বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ,
বিনিয়োগের জন্য প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুফল, বন্ধুসুলভ
আচরণ, কর্মক্ষম জনবলের সহজলভ্যতাসহ বিভিন্ন সুবিধার কথা যুক্তরাষ্ট্রের
বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়ন
অগ্রযাত্রায় সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here