সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ডিবিসি চ্যানেলের পরিচালক ও তার পরিবারের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচার:থানায় সাধারণ ডায়েরি ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতায় যেসব কাজ করতে পারবে সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে দোটানায় থাকতে দিল ভারত বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু, পানিবন্দী ৯ লাখ পরিবার ৮ জেলা বন্যাকবলিত, আরও বিস্তৃত হতে পারে শেখ হাসিনার বিচারের বিষয়ে অবস্থান জানাল জাতিসংঘ ঢাকা শহরকে দূষণমুক্ত ও বাসযোগ্য করতে যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে :সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে এনবিআর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বিদায়ী সাক্ষাৎ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

ধর্ষণ নিয়ে সেই বিচারকের দেওয়া বক্তব্য বিচারকদের জন্য বিব্রতকর – আইনমন্ত্রী

Reporter Name / ১৮৬ Time View
Update : রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১

ঢাকা, ২৯ কার্তিক (১৪ নভেম্বর) :

ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পরে ধর্ষণ মামলা নেওয়া যাবে না-বিচারক মোছাঃ কামরুন্নাহারের এমন বক্তব্য বিচারকদের জন্য বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। আজ সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, এটা একটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি ভুল নির্দেশনা দেয়া। সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল, সেজন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেটাও সম্পূর্ণ আইনানুগভাবে কিন্তু এগিয়ে যাবে। তিনি কেন বলেছেন তার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। সেটা আইনিভাবে যে প্রক্রিয়া দেয়া আছে, সেটাই তার ব্যাপারেও প্রযোজ্য।

আনিসুল হক বলেন, কোনো ফৌজদারি অপরাধের মামলা করার ব্যাপারে তামাদি বারিত হয় না (মানে ইট ইজ নট বার বাই লিমিটেশন)। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর ২১ বছর কোনো মামলা হয়নি। ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর এই মামলার প্রথম এফআইআর হয়। মন্ত্রী আরও যুক্তি দেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক বা বাংলাদেশে সাময়িকভাবে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তির বিরুদ্ধে বা পক্ষে একমাত্র আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। অথচ রেইনট্রি হোটেলে দুই নারীকে ধর্ষণ মামলার বিচারক বলেছেন, ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পরে মামলা নেওয়া যাবে না। তার এই বক্তব্যটি আইন এবং সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদে দেওয়া মৌলিক অধিকার পরিপন্থী। ওই বিচারক আইন ও সংবিধান দুটোই ভায়োলেশন (লঙ্ঘন) করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, এই ভায়োলেশনের তাৎপর্যটা কী? অনেক রায় আছে যেগুলো হয়তো বেআইনি হয়, আপিল বিভাগে গিয়ে স্যাটেসাইড হয়। এখানে তিনি যে কথাটা বলেছেন, সেটার একটা এপ্লিকেশন আছে, একটা কনসিকিউয়েন্স আছে। এ কারণেই আজকে বিচার বিভাগের যিনি গার্ডিয়ান, যিনি প্রধান তাঁকে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান বিচারপতির কাছে এ বিষয়ে চিঠি দেয়া হবে।

          আনিসুল হক বলেন, এখন কথা হচ্ছে এটা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন- বিজ্ঞ বিচারকগণ প্রতিদিনই কিন্তু রায় দেন। রায়ে কেউ সন্তুষ্ট হয়, কেউ অসন্তুষ্ট হয়। যারা অসন্তুষ্ট হন, দেশের ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী , সংবিধান অনুযায়ী তারা উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারেন। সর্বোচ্চ আদালত হচ্ছে আপিল বিভাগ। সেই আপিল বিভাগের সাংবিধানিক কিছু বাড়তি ক্ষমতাও আছে। সেগুলো তারা প্রয়োগ করে। রায় দিলেই যে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়, তা নয়। তারা মেরিটের ওপরে, আইনের ওপরে, রায় দেয়ার ব্যাপারে সম্পূর্ণ স্বাধীন। কিন্তু এখানে যে ঘটনাটা ঘটেছে সেটা হচ্ছে একজন বিজ্ঞ বিচারক তিনি ওপেন কোর্টে রায় দেয়ার সময় তার পর্যবেক্ষণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছেন, ৭২ ঘণ্টা পর কেউ যদি কোনো ধর্ষণ মামলা করতে আসে, তাহলে সেই মামলাটা গ্রহণ না করতে। এটাই হচ্ছে আপত্তির জায়গা।

বিচারক কামরুন্নাহারের দেয়া রায় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে তিনি বলেন, অনেকে লেখেন বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। কেড়ে নেয়া কথাটার মানে হচ্ছে জোর করে কেড়ে নেয়া। এটা কেড়ে নেয়া হচ্ছে না। এই রকম যদি ঘটনা ঘটে প্রধান বিচারপতির এই ক্ষমতা আছে, তাকে বিচারিক দায়িত্ব থেকে কিছুদিন সরিয়ে রাখা।

বিচারকের পর্যবেক্ষণের কারণে কোনো ভুল ম্যাসেজ যাবে কিনা- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকার বা নির্বাহী বিভাগ যদি বিচারকের পর্যবেক্ষণের বিষয়ে তাদের বক্তব্য পরিষ্কার না করতো, বিচার বিভাগ যদি পদক্ষেপ না নিতো, তাহলে ভুল ম্যাসেজ হয়তো যেত কিন্তু এই পদক্ষেপ নেয়ার পর আর কোনো ভুল ম্যাসেজ যাওয়ার সম্ভাবনা নাই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By ThemesDealer.Com