সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ডিবিসি চ্যানেলের পরিচালক ও তার পরিবারের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচার:থানায় সাধারণ ডায়েরি ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতায় যেসব কাজ করতে পারবে সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে দোটানায় থাকতে দিল ভারত বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু, পানিবন্দী ৯ লাখ পরিবার ৮ জেলা বন্যাকবলিত, আরও বিস্তৃত হতে পারে শেখ হাসিনার বিচারের বিষয়ে অবস্থান জানাল জাতিসংঘ ঢাকা শহরকে দূষণমুক্ত ও বাসযোগ্য করতে যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে :সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে এনবিআর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বিদায়ী সাক্ষাৎ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

প্লটের অনুমতি মেলেনি, স্বামীর কবরে মতিয়া চৌধুরীর দাফন

Reporter Name / ১২ Time View
Update : শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অগ্নিকন্যা’খ্যাত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার পর পর রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্বামী বজলুর রহমানের কবরে তাঁকে সমাহিত করা হয়। মতিয়া চৌধুরীর ভাই মাসুদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাছে কবরের জন্য একটি প্লট চেয়েছিলাম।
কিন্তু সিটি করপোরেশন থেকে জানানো হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার অফিস থেকে অনুমতি না পেলে প্লট বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। আমরা আজ সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও অনুমতি পাইনি। পরে তাঁর স্বামীর কবরে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মতিয়া চৌধুরী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৮২ বছর। তাঁর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। মতিয়া চৌধুরীর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে। তাঁর বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।
তিনি ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৩-৬৪ সালে ছাত্র ইউনিয়ন থেকে রোকেয়া হলের ভিপি এবং ১৯৬৪ সালে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ছাত্রাবস্থায় তিনি ছাত্র ইউনিয়নে সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর নামেই ছাত্র ইউনিয়নে একটি গ্রুপের নাম হয়েছিল ‘মতিয়া গ্রুপ’।
১৯৬৭ সালে অগ্নিকন্যা নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব-পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রূষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
১৯৭৯ সালে ন্যাপ ছেড়ে মতিয়া যোগ দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে। ১৯৭১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন। দু-একবার নয়, জেলে গেছেন ১৫ বার। বছরের পর বছর কাটাতে হয়েছে জেলে। ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৯ টানা দুই বছর জেল খাটেন।
১৯৯৬ ও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১২ জানুয়ারি ২০২৩ সালে তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন। নিজের রাজনৈতিক দক্ষতা-যোগ্যতায় তিন দফায় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By ThemesDealer.Com