আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সমর্থনে কোনও দেশ আক্রমণ করলে সেটা মোকাবিলায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এই মন্তব্য করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এই বক্তব্যকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রচ্ছন্ন হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক শক্তিবিহীন কোনও দেশের আগ্রাসনের পিছে যদি কোনও পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সমর্থন থাকে, তবে সেটাকে রাশিয়ান ফেডারেশনের বিরুদ্ধে যৌথ হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।’
উল্লেখ্য, পারমাণবিক শক্তিবিহীন দেশ ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পারমাণবিক শক্তিধর দেশ সমর্থন দিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পূর্বশর্তে পরিবর্তন আনার কথা চিন্তা করছে তার সরকার। রুশ ভূখণ্ডে ব্যাপক হারে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও বিমান হামলার আভাস পেলে তা মোকাবিলা করতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা চিন্তা করবে রাশিয়া।
একদিকে পুতিন তাদের পারমাণবিক অস্ত্র নীতিতে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন, অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার গভীরে দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে হামলার অনুমতি আদায়ে হন্যে হয়ে ঘুরছেন।
পুতিনের মন্তব্যের সমালোচনা করে জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রিয়ে ইয়েরমাক বলেছেন, বিশ্বকে ব্ল্যাকমেইল করতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা ছাড়া রাশিয়ার কাছে আর কোনও কৌশল অবশিষ্ট নেই।
রাশিয়ার অন্যতম মিত্র চীন সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পুতিনকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করেছেন বলে প্রতিবেদনে জানা গেছে।
বুধবার পুতিন বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে রাশিয়ার জন্য শর্তের পরিবর্তন আনবে নতুন ‘নিউক্লিয়ার ডকট্রিন’। মস্কোর বিরুদ্ধে ‘কনভেনশনাল মিসাইল’ ব্যবহার করলেও তা সর্বোচ্চ হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পারমাণবিক অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি। ক্রেমলিন নেতা বলেছেন, রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রই তার দেশ ও জনগণের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।