নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ ফেরত দিতে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু তারপরও সব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার না হওয়ায় পরদিন থেকেই লুট ও অবৈধ অস্ত্রের উদ্ধারে অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। গত ২১ দিনে লুট হওয়া বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে ২১৬টি। এসব অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৯২ জনকে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক বার্তায় এ তথ্য জানান পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সারা দেশে বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালায়। থানা ও ফাঁড়িতে হামলার পর অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে দুর্বৃত্তরা। ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা থাকলেও তা জমা পড়েনি। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে লুট ও অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী।
ইনামুল হক সাগর জানান, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ২১৬টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রিভলবার ১১টি, পিস্তল ৬২, রাইফেল ১৩, শটগান ২৮, পাইপগান ৬, শুটারগান ২৩, এলজি ২০, বন্দুক ৩১, একে-৪৭ ১টি, গ্যাসগান ২, চায়নিজ রাইফেল ১, এয়ারগান ৪, এসবিবিএল ৫, এসএমজি ৫, টিয়ার গ্যাস লঞ্চার ২ ও ২ থ্রি-কোয়াটার। আর এসব অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ৯২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যৌথ অভিযানে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্ট গার্ড এবং র্যাব।