গাজীপুরের পূবাইল জোনাল অফিসে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম এখন দালালচক্রের করাল গ্রাসে। বিদ্যুৎ সংযোগ, মিটার প্রতিস্থাপন, বিল সংশোধন থেকে শুরু করে যেকোনো সেবার জন্যই সাধারণ গ্রাহকদের দালালদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে। অফিসের নির্দিষ্ট কর্মচারীদের সঙ্গে দালালদের সখ্যতা স্পষ্ট—এ যেন প্রকাশ্যেই চলছে দুর্নীতির মহোৎসব।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, প্রকৃত সেবার বদলে অতিরিক্ত অর্থ আদায় আর সুপারিশই হয়ে উঠেছে এখানকার নিয়ম। অনেকেই অভিযোগ করেন, সঠিক বিল তৈরি করা হয় না,যার কারণে নানামুখী জটিলতা সৃষ্টি করা হয় ইচ্ছাকৃতভাবে।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে নিয়মের বাইরে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়। উল্লেখ্য যে নতুন মিটারের আবেদনের জন্য গাজীপুরের পুবাইল পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে যান ৩৯ নং ওয়ার্ডের জাগিরারটেক গ্রামের সাইদুল ইসলাম, পুবাইল পল্লী বিদ্যুতের অফিসের মধ্যেই মানিক ও প্রান্ত নামে দুজন দালাল এসে তার সাথে কথা বলেন, তাদের সাথে কথা বলে লোকটাকে ভুলিয়েভালিয়ে তার কাছ থেকে নতুন সংযোগ স্থাপনার নাম করে নেয়া হয় ৬০০০/ টাকা, এছাড়াও খাম্বা থেকে লাইন সংযোগ দেয়ার জন্য বাদল নামের একজন নিয়েছে দশ হাজার টাকা, অনিয়মের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেই গ্রাহকদের নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়।
এসব বিষয় নিয়ে পবাইল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম নুরুন্নবী সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার সময় নেই, তাছাড়া আপনি যদি নিউজ করেন তাহলে আপনি কত বড় সাংবাদিক তা আমার দেখে নেওয়ার আছে, আপনি নিউজ করলে আপনার সমস্যা হবে, এবং আপনার নামে আমি মামলা করব, অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা সাংবাদিককে হুমকি প্রদান করে।
জনসাধারণের দাবি, অবিলম্বে পূবাইল জোনাল অফিসে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে দালালচক্র এবং দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো—সেবা প্রতিষ্ঠানে যেন জনগণের ভোগান্তি না হয়, সে নিশ্চয়তা দিন।
পর্ব-০১